স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে বিএনপির দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকালে ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ওই দুই বিএনপি নেতাকে বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত রবিবার রাতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেছ আলী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে এ কথা জানা গেছে। তবে দলের আহ্বায়কের এ সিদ্ধান্ত গঠণতন্ত্র পরিপন্থী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন ‘বহিস্কৃত’ এক নেতাসহ আহ্বায়ক কমিটির এক সদস্য। ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘দলীয় ভাবমূর্তি ও শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার অপরাধে বিএনপির মধুখালী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুনসুর নান্নু এবং আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলামকে দল থেকে বহিস্কার করা হল।
একই সাথে মধুখালী পৌর শাখার যুগ্ম সম্পাদক মো. ফরিদুল ইসলামকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হল‘। আলফাডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, জেলা আহ্বায়ক কেন আমাকে বহিস্কার করেছেন তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি সংগঠন পরিপন্থী কোন কাজ করিনি। এ বহিস্কার দলীয় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি। কেন আমাকে বহিস্কার করা হবে এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে চাওয়া হয়নি। আমি কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরবো। মধুখালী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুনসুর বলেন, উনি (জেলা আহ্বায়ক) বহিস্কারের ক্ষমতা রাখেন না। দলের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী এ ক্ষমতা মহাসচিব কিংবা যুগ্ম মহাসচিব রাখেন। উনি বড় জোর আমাকে শোকজ করতে পারেন।
আমার বক্তব্য সন্তোষজনক না হলে উনি বহিস্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করতে পারতেন। তা না করে জেলার আহ্বায়ক গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজ করেছেন। এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার বলেন, বহিস্কারের ব্যাপারে দলীয় গঠণতন্ত্রের যে ব্যাখ্যা মধুখালী পৌর শাখার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মুনসুর দিয়েছেন সেটাই সত্যিকারের পদ্ধতি। দলের কেউ শৃংখলা পরিপন্থী কোন কাজ করলে জেলা আহ্বায়ক কিংবা যুগ্ম আহ্বায়ক তাকে শোকজ করতে পারেন কিন্তু বহিস্কারের কোন ক্ষমতা রাখেন না। জেলার সদস্য সচিব জেলে তবে আমিসহ কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক বাইরে আছেন। দলের আহ্বায়ক আমাদের কারও সাথেও কোন কথা না বলে ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। এভাবে উনি (জেলা আহ্বায়ক) এ কাজ সকরতে পারেন না।
Leave a Reply