স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাসীদের হাতে নির্ভিক সাংবাদিক, সমকালের ফরিদপুর ব্যুরো প্রধান গৌতম দাস হত্যার ১৭ বছর পুর্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার ফরিদপুরে ও ভাঙ্গায় নানা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এসময় বক্তারা প্রয়াত গৌতম দাসের নিষ্ঠা, ন্যায় পরায়নতা ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতার আদর্শ অনুসরন করার প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন। বেলা ১১টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতমের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে সমকাল ও প্রথম আলো।
এর পর দুপুরে ফরিদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গৌতম দাসের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নেন সাংবাদিকবৃন্দ ও সমকাল সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা। এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ফরিদপুর শহরের শ্রীঅঙ্গন ও বান্ধব পল্লীতে ধর্মীয় অনুষ্ঠান, প্রার্থনা ও দুস্থ শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করেন প্রয়াতের স্ত্রী দিপালী দাস। গৌতমের জন্মস্থান ভাঙ্গা উপজেলার চন্ডিদাসদী গ্রামে গৌতম দাসের ভাই ও বেনদের উদ্যোগে সমাধীতে পুস্পমাল্য দান ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি কবিরুল ইসলাম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন সাংবাদিক পান্না বালা, মশিউর রহমান খোকন, শফিকুল ইসলাম মনি, হাসানউজ্জামান, শেখ মনির হোসেন, মফিজুর রহমান শিপন, এস এম তরুন, মানিক দাস, মো. রুবেল, এস এম ওয়াহিদ, সমকাল সুহৃদ সমাবেশ ফরিদপুরের সভাপতি জয়ন্ত ভট্টাচার্য, সাধারন সম্পাদক কাজী সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবরাব নাদিম ইতু ও সুহৃদ অমর দাস প্রমুখ।
উল্লেখ্য ২০০৫ সালের ১৭ নভেম্বর ফরিদপুর শহরে দৈনিক সমকাল ব্যুরো অফিসে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয় গৌতম দাসকে। গৌতম দাস হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে সাংবাদিকসহ ফরিদপুরের সর্বস্তরের জনতা। পরবর্তিতে এ হত্যা মামলাটি চাঞ্চল্যকর বিবেচনায় ফরিদপুরের আদালত থেকে ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। গত ২০১৩ সালের ২৭ জুন ঢাকার দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনাল ১ এর বিচারক শাহেদ নূরউদ্দিন গৌতম দাস হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নয়জন আসামির সকলকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়।
Leave a Reply