স্টাফ রিপোর্টার : ফরিদপুরে জেলা পরিষদ সদস্য এখলাস আলী ফকিরকে (৪৫) কুপিয়ে মারাত্মক জখমের ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেফতাররা হলেন- ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার যাত্রাবাড়ী এলাকার আমানত তালুকদারের ছেলে সজীব তালুকদার (২৫) ও একই উপজেলার শৌলডুবী গ্রামের জলিল মাতুব্বরের ছেলে মুরাদ মাতুব্বর (৪২)। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধেই হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। এর আগে বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সদরপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জেলা পরিষদের সদস্যর ওপর হামলার ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দু’জনেরই বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এব্যাপারে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে জানিয়ে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ভাঙ্গা সার্কেল) মো. হেলালউদ্দিন ভূইয়া বলেন, ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য একলাছ আলী ফকিরের উপর যারা সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তারা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন তাদের গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। এ ঘটনায় রাতে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে আইন শৃংখলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি অচিরেই বাকি আসামিদেরও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
প্রসঙ্গ, গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরের দিকে জেলা পরিষদের সদস্য এখলাস আলী ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পূর্বশৈলডুবী গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে গেলে তার ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। উল্লেখ, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নে দুইটি গ্রুপ বিদ্যমান রয়েছে। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামান তিতাস, অপরটির নেতৃত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন ফকির। হামলার শিকার এখলাস আলী ফকির বর্তমান চেয়ারম্যান আকতারুজ্জামানের সমর্থক। গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের পর থেকেই দু’পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply