শাহজাহান হেলাল, মধুখালী :
ফরিদপুুরের মধুখালী উপজেলার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের শ্রীপুর গ্রামে খাদ্যে চেতনা নাশক ঐষধ মিশিয়ে বাড়ির ১৪সদস্যকে অচেতন করে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের ঘটনায় মধুখালী থানায় অজ্ঞাত আসামী করে থানায় মামলা দায়ে করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আজাদ মোল্যা গংদের পরিবারের ১২সদস্য আজাদ, আব্দুর রহমান, রইচ মোল্যা, খুরশীদা, অন্তরা, আয়েশা, রাব্বী, আলআমিন, ছালেহা, মরিয়ম সুলতানা, আজিজুল ও তাদের দুই কৃষি শ্রমিক হান্নান ও রহমান অচেতন হলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থায় রাতে ওই পরিবারের বসতবাড়ির ঘরবাড়িতে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণ ও আসবাবপত্র সহ প্রায় ২০ লক্ষ টাকার মালামার লুট করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্বরা ।
মধুখালী থানায় রজুকৃত মামলার বাদী আজাদ রহমান জানান কে বা কারা রাতের খাবারের ভিতর চেতনা নাশক মিশিায়ে দেয় । বাড়ির সবাই রাতের খাবার খেয়ে অবচেতন হয়ে পরে। অচেতন সবাই মধুখালী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় গভীর রাতে দুর্বৃত্বরা বাড়িতে থাকা আমার ছোট ভাইয়ের বাড়ির দ্বিতীয় তলার কাজের জন্য রক্ষিত নগদ ৭লক্ষ ৫০ হাজার এবং আামাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আরএফএল এবং এসি আই কোম্পানির ডিলার হিসাবে আমাদের সংগ্রহের ৭লক্ষ ৭৬ হাজার টাকা এবং ৭/৮ ভরি স্বর্ণসহ মোট প্রায় ২০ লক্ষা টাকার সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার ওসি তদন্ত মো. আনিসুর রহমান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। রাতে আজাদ মোল্যা অজ্ঞাত আসামী করে একটি এজাহার দিয়েছেন। রাতেই মামল এন্ট্রি করে এস আই খায়রুল ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এস আই খায়রুল বলেন, রাতে মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ০৮ তারিখ ১০ মার্চ ২০২২খ্রিঃ। তদন্ত পূর্বক প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১২ মার্চ শনিবার তিনি আরো জানান মামলার আসামী আটক বা খোয়া যাওয়া মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয় নাই ।
মধুখালী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ মোঃ কবির সরদার জানান অচেতন অবস্থায় রাতে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন। চিকিৎসা নিয়ে শুক্রবার সবাই বাড়ীতে ফিড়ে গেছেন । তারা সবাই শঙ্কামুক্ত।
Leave a Reply